প্রশ্নঃ-১ হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের আগমন বা মিলাদুন্নবীর উদ্দেশ্যে খুশি উদযাপন করার কোন দলীল কি কোরানে রয়েছে ?উত্তরঃ- নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম হলেন আল্লার তরফ হতে উম্মতের জন্য শ্রেষ্ঠ নেয়ামত,আর এই নেয়ামত প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে খুশি মানানোর হুকুম কোরানের মধ্যে বিদ্যমান -১.সুরা ইউনুস ১১ পারা ৫৮ নং আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ-قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ “হে হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম আপনি বলে দিন,মুসলমানগণ যেন আল্লার নেয়ামত ও রহমত পাওয়ার কারনে যেন খুশি মানায়,যা তাদের যাবতীয় বস্তু হতে উত্তম”হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু)এ আয়াতের তাফসীরে বলেন এখানে আল্লাহর অনুগ্রহ (ফাদ্বলুল্লাহ) দ্বারা ইলমে দ্বীন বুঝানো হয়েছে আর (রহমত) দ্বারা সরকারে দু’আলম নূরে মোজাসসাম আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বুঝানো হয়েছে।(সূত্রঃ সূরা আম্বিয়া আয়াত নং- ১০৭, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, তাফসীরে কবির ও ইমাম সূয়ূতী কৃত তাফসীরই আদ দুর রুল মুনছুর, ৪র্থ খন্ড- ৩৬ পৃষ্ঠায় ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন)।২.সুরা দোহায় আল্লাহ ইরশাদ করেন وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ “আল্লাহর তরফ হতে প্রাপ্ত নেয়ামতের খুব চর্চা কর”অতএব , এটা প্রমাণ হল যে, হুযুর পাকের শুভাগমন বান্দাদের জন্য শ্রেষ্ঠ নেয়ামত আর সেই উদ্দ্যেশে খুশি মানানো প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর হুকুম পালন করা,আর এর বিরোধিতা বা অমান্য করা মানে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর হুকুমের অমান্য করা ।প্রশ্নঃ-২ হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ সমন্ধে ওলামায়ে কেরামগণের মন্তব্য কী ?উত্তর -রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম মোবারক ১২ ই রবিউল আওয়াল তারিখে হয়েছিল । হযরত জাবের এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বণির্ত হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম হস্তি ঘটনার বছর ১২ ই রবিউল আওয়াল তারিখে সোমবারের দিন হয়েছিল । (সিরাতুন নবুবিয়াহ ইবনে কাসির ১ম খন্ড ১৯৯ পৃঃ,আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ২য় খন্ড ২৬০ পৃঃ)ইমাম ইবনে জারীর তাবরাণীর মন্তব্যঃ-ইবনে জারীর তাবরানী লিখেছেন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম রবিউল আওয়ালের ১২ তারিখে হস্তির বছর হয়েছিল । (তারিখে তাবারী ২য় খন্ড ১২৫ পৃঃ)মোহাম্মদ বিন ইসাহক্ব ও ইমাম ইবনে হেশামের ও মোহাম্মদ ইবনে জওযীর মন্তব্যঃ-মোহাদ্দীস ইবনে জওযী লিখেছেন যা ইমাম ইবনে ইসাহক্ব বণর্না করেছেন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম সোমবারের দিন রবিউল আওয়াল মাসে হস্তী বছর হয়েছিল ।(আল ওফা ১ম খন্ড ৯০ পৃঃ,সাবলুল হুদা অয়ার রসাদ ১ম খন্ড ৩৩৪ পৃঃ ,আসসিরাতুন নবুবিয়াহ ১ম খন্ড ১৮১ পৃঃ)ইমাম বায়হাক্বীঃ-প্রশিদ্ধ মোহাদ্দেস ইমাম বায়হাক্বী লিখেছেন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম সোমবারের দিনে ১২ ই রবিউল আওয়ালে জন্মগ্রহন করেছিলেন । (দালায়েলুল নবুওত ১ম খন্ড ৭৪ পৃঃ)ইবনে কাসীরঃ-শারহে মোওয়াহিবের মধ্যে ইবনে কাসীর হতে বণির্ত হয়েছে যে, অধিকাংশ ওলামার নিকট ১২ই রবিউল আওয়াল তারিখ ই প্রশিদ্ধ । (সুত্রঃ- আন নেমাতুল কুবরা ২০২ পৃঃ, সিরাতুন নবুবীয়া ৪ থ খন্ড ৩৩ পৃঃ উ উন আল আসার ১ম খন্ড ২৬ পৃঃ সিরাতুল হালাবীয়া ১ম খন্ড ৫৭ পৃঃ)প্রশ্নঃ-৩ হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের ওফাত দিবস সমন্ধে ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে কোন মতভেদ আছে কী ? এবং সঠিক মত কোনটি ?উত্তরঃ-হ্যাঁ, ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের ওফাত দিবস সমন্ধে কয়েকটি মত বিদ্যমানঃ-১ . ১২ ই রবিউল আওয়ালঃ-জমহুর (অধিকাংশ) ওলামাদের নিকট গ্রহণ যোগ্যমত হল হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের ওফাত দিবস হল ১২ ই রবিউল আওয়াল ।২. ১লা রবিউল আওয়ালঃ-এই তারিখ ব্যক্তকারীদের মধ্যে হলেন, কয়েকজন সাহাবী যেমন হযরত আবদুল্লা ইবনে আব্বাস,হযরত আনাস বিন মালেক (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা),কয়েকজন তাবেয়ী যেমন হযরত সাঈদ বিন মুসাইব,ইমাম সুলায়মান ও আন্তারা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন) {তফসীর জামেউল বায়ান,তাবারী ৬ খন্ড ৫১ পৃঃ,তারিখুল উমাম ওয়াল মুলক ৩য় খন্ড ১৯৭ পৃঃ}৩. ২রা রবিউল আওয়ালঃ-বিখ্যাত ইমাম ইবনে হাজার আস্কালানি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে প্রমাণ করেছন যে,হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের ওফাত দিন ছিল ২রা রবিউল আওয়াল । (ফতহুল বারী শারহে বোখারী ৮ম খন্ড ১৩০ পৃঃ)৪. ১৩ই রবিউল আওয়ালঃ-বিশিষ্ঠ মোহাক্বীক,চিন্তাবিদদের ও ওলামাদের মতে এই তারিখ ই হল হুযুরের ওফাত মোবারকের সঠিক তারিখ,যা ইমাম বারুযী,ইমাম ইমাদুদ্দিন বিন কাসির এবং ইমাম বদরুদ্দিন বিন জামায়া প্রমুখ গবেষণা করে বলেছেনপরিশেষে বলা যায়,সঠিক ব্যাখার দ্বারা বিশিষ্ঠ ওলামায়ে কেরাম সাবস্ত্য করেছেন যে,চাঁদের হিসাবে ওই দিন মক্বা শরীফে ১৩ রবিউল আওয়াল ছিল এবং মদিনা শ রীফে চাঁদ না দেখা যাওয়াই ১২ ই রবিউল আওয়াল ছিল ।(ফতওয়া রেযবীয়া,রেসালা নুতকুল হেলাল...২য় অধ্যায়৯২পৃঃ)প্রশ্নঃ-৪ ১২ই রবিউল আওয়ালে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের ওফাতও হয়েছিল,কিন্ত সে কারনে ওই দিন দুঃখ কেন মানানো হয় না ?উত্তরঃ- উম্মতদের জন্য হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়াসাল্লামের আগমন ও প্রস্থান দুই-ই এক,হযরত আব্দুল্লা বিন মাসউদ বনর্ণা করেছেন হুযুর ইরশাদ করেছেন “আমার প্রকাশ্য জিন্দেগী এবং আমার বেসাল দুই-ই তোমাদের জন্য উত্তম”।(শেফা শ রীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃঃ)অপর স্থানে এর হিকমত প্রসঙ্গে বণীর্ত হয়েছে যখন আল্লাহ তায়ালা যখন কোন উম্মতের উপর নিজের খাস করম করতে চান তখন সেই উম্মতের মধ্য থেকে নবীকে পৃথক করিয়ে নেন,এবং তিনি ওই উম্মাতের জন্য শাফায়াতের মাধ্যম হয়ে যান(মুস লিম শ রীফ )।তাছাড়া নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা নিজে সোমবারের রোযা রাখার কারন হিসেবে তাঁর বেলাদত ও প্রথম অহী নাযিলের কথা উল্লেখ করেছেন।কিন্তু দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহন বা ইন্তিকাল উপলক্ষে শোক পালন করার কথা উল্লেখ করেননি।যদি করতেন,তাহলে আমরা তা পালন করতাম।সুতরাং একই দিনে ও একই তারিখে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর জন্ম এবং ইন্তিকাল হলেও ওফাত দিবস পালন করা যাবে না।এটাই কোরআন-হাদীসের শিক্ষা।এ ছাড়াও তাঁর ওফাত শরীফ এমনটি নয় যে,উম্মতের সাথে উনার সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম হলেন হায়াতুন্নাবী বরং তাঁর ফায়জান ক্বীয়ামত পযন্ত জারী থাকবে । যেমন ভাবে মোল্লা আলী ক্বারী বনর্না করেছেন “এখানে মওত বলা যাবে না, বরং এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থায় গমন” ।প্রশ্নঃ-৫ হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ১২ ই রবিয়ল আওয়ালে জন্মদিন উপলক্ষে খুশি মানিয়েছিলেন কী ?উত্তরঃ সর্ব প্রথম মিলাদের ব্যব হারিক অভিধানিক অর্থ জানা প্রয়োজন,অভিধানে মিলাদ শব্দের অর্থ জন্মের সময় কাল এবং ব্যবহারিক অর্থ হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্মের খুশিতে তাঁর মুযেজা ,বৈশিষ্ট্য,জীবনী প্রভৃতি বায়াণ করা । সরকার সাল্লাল্লাহু আলায়হে অয়া সাল্লাম নিজেই নিজের মিলাদ শরীফ মানিয়েছেন,হাদিসঃ-হযরত আবু কাতাদাহ বণর্না করেন যে,হুযুর কে জিজ্ঞাসা করা হ ল ইয়া রাসুলাল্লাহ আপনি সোমবারের দিন কেন রোযা রাখেন,হুযুর ইরশাদ করলেন ওই দিন আমার জন্ম হয় ,এবং ওই দিন-ই আমার উপর ওহী নাযীল হয়।(মুসলিম ২য় খন্ড ৮১৯ পৃঃ,হাদিস নং১১৬২,ইমাম বায়হাকী আস সুনানুল কুবরা ৪ থ খন্ড ২৮৬ পৃঃ,হাদিস নং ৮১৮২) এ ছাড়াও হাদিস হতে প্রমাণিত স্বয়ং হুযুর নিজের জন্মের খুশির উদ্দেশ্যে ছাগল যবাহ করেছিলেন ।(ইমাম সুয়ুতী আল হাবিলুল ফাতোয়া ১ম খন্ড ১৯৬ পৃঃ,হুস্নুল মাকাসিদ ফি আমালিল মোলিদ ৬৫ পৃঃ,ইমাম নাব হানী হুজ্জাতুল্লাহে আলাল আলামীন ২৩৭ পৃঃ)তাহলে বোঝা গেল মিলাদ শরীফ পালন ক রা হুযুরের সুন্নাত ।প্রশ্নঃ-৬ খোলাফায়ে রাশেদীনের বা সাহাবীদের আমলে পবিত্র ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রচলন কী ছিল?উত্তর, আল্লামা শাহাবুদ্দীন ইবনে হাজর হায়তামী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করার নীতি প্রচলন ছিল। যেমনঃ- হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম অর্থ খরচ করবে, সে ব্যক্তি বেহেশ্তে আমার সাথী হবে”। হযরত ওমর ফারুক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাজীম ও সম্মান করলো, সে যেন ইসলামকেই জীবিত রাখলো”। হযরত ওসমান (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম অর্থ খরচ করলো, সে যেন বদর ও হোনাইনের যুদ্ধে শরীক হলো”। হযরত আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্মান করবে এবং মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করার উদ্যোক্তা হবে, সে দুনিয়া থেকে (তওবার মাধ্যমে) ঈমানের সাথে বিদায় হবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”।(সূত্রঃ আননে’মাতুল কোবরা আলাল ফি মাওলিদি সাইয়্যেদ ওলদে আদম ৭-৮ পৃষ্ঠা)।সাহাবায়ে কেরামগন হুযুর পাকের সামনে মিলাদ মানিয়ে ছিলেন এবং হুযুর তা বারণ করেননি বরং খুশি হয়েছিলেন ।যেমন হযরাত হাসসান বিন সাবেত রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্য মেম্বার করা হয়, যার উপর উঠে হুযুরের তারিফ প্রশংসা করে বিভিন্ন ছন্দ পাঠ করতেন,এবং হুযুর পাক হাযরাত হাসসানের জন্য এরূপ ভাবে দোওয়া করতেন –হে আল্লাহ হাযরাত হাসসান কে তুমি জীব্রাইলের দ্বারা মাদাদ কর (সহীহ বোখারি ১ম খন্ড ৬৫ পৃঃ) ।প্রশ্নঃ-৭–মক্কায় পুরাতন সমাজ ব্যবস্থায় মিলাদ কি প্রচলন ছিল?উত্তর; হ্যাঁ,প্রচলন ছিল,মুহাদ্দিস ইবনে জওযী বনর্ণা করেছেন “হারামাইন শরিফাইন মক্কা মদিনার বাসিন্দারা ,মিসর,ইয়ামান,শাম এমন কি সমস্ত আরবের পূব্ব হতে পশ্চিম পযর্ন্ত মুসলমানদের মধ্যে এরূপ প্রথার প্রচলন ছিল যে, প্রতি রবিউল আওয়াল মাসের চাঁদ দেখা মাত্র-ই মিলাদের মহ ফিল সাজাত,খুশি মানাত,গোসল করত পবিত্র সুন্দর কাপড় ব্যবহার করত,বিভিন্ন মিস্টাণ্ণ প্রস্তুত করত খরচ করত,মিলাদ শরীফ পাঠ করত ও শুনত এবং এ সকল দ্বারা অ ধিক সাওয়াবের অধিকারি হত । ১৯৭১ সালের জানুয়ারী মাসে ‘মাহনামা তরিক্বত’ লাহোর পত্রিকায় মক্কা শরীফের জশনে ঈদে মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা পালনের বর্ণনা এভাবে লিখিত হয়েছে যে, “হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর শুভাগমন দিবসে মক্কা শরীফের মধ্যে বড় ধরনের আনন্দ উৎসব পালন করা হয়।ঐ দিবসকে ‘ঈদে ইয়াওমে বেলাদতে রাসূল’ বলা হয়।ঐ দিন চারিদিকে পতাকা উড়তে থাকে।হেরেম শরীফের গভর্ণর এবং হেযাযের কমান্ডারসহ আরো অন্যান্য কর্মকর্তাগণ আভিজাত্য পোশাক পরিধান করে মাহফিলে উপস্থিত হতেন এবং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর ‘পবিত্র জন্মস্থানে’-এ গিয়ে কিছুক্ষন নাত-গজল পরিবেশন শেষে ফিরে যেতেন।হেরেম শরীফ থেকে ‘মৌলিদুন্নবী’(পবিত্র জন্মস্থান) পযর্ন্ত দুই সাড়িতে আলোকসজ্জা করা হত।ঐ মৌলিদ শরীফের স্থান নূরের আলোর ভূমিতে পরিণত হত এবং মৌলিদ শরীফের স্থানে সু-কন্ঠে প্রিয় নবীর মিলাদ পালন করতেন ।এ অবস্থায় রাত দুইটা পযর্ন্ত মিলাদখানী,নাত এবং বিভিন্ন খত্ম পড়তেন ।দলে দলে লোকজন এসে নাত পরিবেশন করতেন । ১১ই রবিউল আউয়াল শরীফের মাগরীব হতে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফের আসর পযর্ন্ত ২১ টি তোপধ্বনি করা হত।মক্কা শরীফের ঘরে ঘরে মিলাদুন্নাবী উপলক্ষে খুশি আনন্দ এমনকি স্থানে স্থানে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হত।”প্রশ্ন-৮ মিলাদ শরীফ সম্পর্কে হাদিসে কি ভাবে এসেছে ?উত্তর - মিলাদ সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস শরীফঃপ্রশিদ্ধ হাদিসে বণির্ত হযরত উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা বণর্না করেছেন যে রসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম এবং আবুবকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু আমার নিকট নিজ নিজ মিলাদ শরীফের বণর্না করেছেন (ইমাম বায়হাকী এই বণর্না কে হাসান বলেছেন) (আল যামুল কাবীর লিত তাবরাণী ১ম খন্ড ৫৮ পৃঃ,মযমাঊল যাওয়াঈদ ৯ম খন্ড ৬৩ পৃঃ)হুযুর পাক নিজের মিলাদ বণর্না করে বলেন অবশ্য ই আমি আল্লাহর নিকট খাতিমুল নব্বীইন নিব্বাচিত হয়েছি ওই সময় যে সময় হযরত আদাম মাটি ও পানীতে মিশ্রিত অবস্থায় ছিল। আমি তোমাদের কে আবার প্রাথমিক অবস্থার খবর দিচ্ছি-আমি হচ্ছি হযরত আদাম আলায়হিস সালামের দুয়া ও হযরত ঈসা আলায়হে সাল্লামের খুশির বার্তা এবং আমার মাতার স্বপ্ন যা তিনি আমার জন্মের সময় দেখেছিলেন যে উনার মধ্য হতে একটি নুর নিগর্ত হয়েছে যার দ্বারা শাম দেশের বহু মহল রওশন হয়ে গেছে । (মিশকাতুল মাসাবিহ ৫১৩ পৃঃ,তারিখে মাদিনা ও দামাশক – ইবনে আশাকিড় ১ম খণ্ড ১৬৮ পৃঃ,কানযুল উম্মাল ১১খন্ড১৭৩ পৃঃ,মুস্নাদে ইমাম আহমদ ৪ খন্ড ১৬১ পৃ,আল মুজমাল ক্বাদির ১৮ খন্ড ২৫৩ পৃঃ,মুস্নাদ আফযার হাদিস নং ২৩৬৫,তাফসির দুররে মান্সুর ১ম খন্ড ৩৩৪ পৃঃ,মাওয়ারেদুল জাম্মান১ খন্ড ৫১২ পৃঃ,সহী ইবনে হাব্বান ৯ম খন্ড ১০৬ পৃঃ,আল মুস্তাদ্রাক লিল হাকিম ৩য় খণ্ড ২৭ পৃঃ ,আল বেদায়া অয়ান নেহায়া ২য় খণ্ড ৩২১ পৃঃ,মাযমাউল যাওয়ায়েদ ৮ম খন্ড ৪০৯ পৃ প্রভৃতি)হযরত মুতাল্লিব বনর্না করেছেন যে ,হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু রসুল বারগাহে কিছু প্রশ্ন নিয়ে হাযির হলেন,প্রশ্ন করার পুবেই হুযুর মেম্বারের মধ্যে আরোহন করে বলেন যে আমি কে? প্রত্যুত্তরে সকলে উত্তর দিলেন আপনার উপর সালাম বষর্ন হোক আপনি হচ্ছেন আল্লাহর রসুল । হুযুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন যে, আমি আব্দুল্লার পুত্র মোহাম্মাদ । আল্লাহ তায়ালা সমস্ত মানুষ কে সৃষ্টি করেছেন এবং ওই মানুষদের মধ্য থেকে উৎকৃষ্ট করে আমাকে সৃষ্টি করেছেন আবার ওই গোষ্ঠীকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন আরব ও আযাম এবং তাদের মধ্যে অতি উত্তম করে আমাকে সৃষ্টি করেছেন পুনরায় ওই ভাগ হতে কাবিলা তেরী করেছেন এবং তাদের মধ্যে উত্তম কাবিলায় আমাকে সৃষ্টি করেছেন অতএব আমাকে বংশ এবং নসবের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম করে সৃষ্টি করেছেন (জামে তীরমিযী ২য় খন্ড ২০১ পৃঃ,মুস্নাদে ইমাম আহমদ ১ম খন্ড ৯ পৃঃ,দালায়েলুল নবুওত বায়হাকী ১ম খন্ড ১৬৯ পৃ,কানযুল উম্মাল ২য় খন্ড ১৭৫ পৃঃ)।প্রশ্নঃ-৯ ঈদে মিলাদুন্নবীর ফযীলত প্রসঙ্গে ওলামাদের মন্তব্য কিরূপ ?উত্তরঃ-প্রশিদ্ধ আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের দৃষ্টিতে সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গুরুত্ব ও ফযীলত।১. হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -“আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি ওহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকত তাহলে তা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে ব্যয় করতাম। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)২. হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -“যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করলো এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং মীলাদ পাঠের জন্য উত্তম ভাবে (তথা সুন্নাহ ভিত্তিক) আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক হাশরের দিন সিদ্দীক শহীদ, সালেহীনগণের সাথে উঠাবেন এবং তাঁর ঠিকানা হবে জান্নাতে নাঈমে ।” (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)৩.হযরত মারুফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -“যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে খাদ্যের আয়োজন করে, অতঃপর লোকজনকে জমা করে, মজলিশে আলোর ব্যবস্থা করে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নতুন লেবাস পরিধান করে,মীলাদুন্নবীর তাজিমার্থে সু-ঘ্রাণ ও সুগন্ধি ব্যবহার করে। আল্লাহ পাক তাকে নবী আলাইহিমুস্ সালামগণের প্রথম কাতারে হাশর করাবেন এবং সে জান্নাতের সুউচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত হবে।“ (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)৪.হযরত ইমাম সাররী সাক্বত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -“যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করল সে যেন তার জন্য জান্নাতে রওজা বা বাগান নিদিষ্ট করলো। কেননা সে তা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুহব্বতের জন্যই করেছে। আর আল্লাহ্ পাক-এর রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসবে সে আমার সাথেই জান্নাতে থাকবে।” (তিরমিযি, মিশকাত, আন নেয়ামাতুল কুবরা)৫.সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -“যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আয়োজনে উপস্থিত হল এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করলো। সে তার ঈমানের দ্বারা সাফল্য লাভ করবে অর্থাৎ সে বেহেশ্তি হবে।” (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নি’মাতুল কুবরা)৬.হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -“যে ব্যক্তি মিলাদ শরীফ পাঠ করে বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে, লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্য দ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে এই খাদ্য দ্রব্যে অবশ্যই বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেন (তাতে বরকত হবেই)”। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নি’মাতুল কুবরা)৭.হযরত ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন -উক্ত মোবারক খাদ্য মীলাদ পাঠকারীর বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারীর জন্য আল্লাহ পাকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাকে ক্ষমা না করা পযর্ন্ত সে ক্ষান্ত হয়না। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নি’মাতুল কুবরা)৮.হযরত ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন -যদি মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে কোন পানিতে ফুঁক দেয়, অতঃপর উক্ত পানি কেউ পান করে তাহলে তার অন্তরে এক হাজার নূর ও রহমত প্রবেশ করবে। আর তার থেকে হাজারটি বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ রোগ দূর হবে। যে দিন সমস্ত ক্বলব (মানুষ) মৃত্যুবরণ করবে সেদিনও ঐ মীলাদুন্নবীর পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর মৃত্যু বরণ করবে না। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নি’মাতুল কুবরা) (চলবে)৯.হযরত ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন -যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদ্্যাপন করে রৌপ্যের অথবা স্বর্ণের দেরহামসমূহের উপর ফুঁক দেয় অতঃপর তা অন্য জাতীয় মুদ্রার সাথে মিশায় তাহলে তাতে অবশ্যই বরকত হবে। এবং এর পাঠক কখনই ফকীর হবে না।আর উক্ত পাঠকের হাত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর (মীলাদ পাঠের) বরকতে কখনও খালি হবে না। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নি’য়ামাতুল কুবরা)১০.হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -যে স্থানে বা মসজিদে অথবা মহল্লায় মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদ্যাপন করা হয় সেস্থান অবশ্যই আল্লাহ পাকের ফেরেস্তাগণ বেষ্টন করে নেন। আর তাঁরা সে স্থানের অধিবাসী গণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন। আর আল্লাহ পাক তাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেস্তা, অর্থাৎ হযরত জিব্রাইল, মীকাইল, ইসরাফিল ও আযরাইল আলাইহিমুস্্ সালামগণ মীলাদ শরীফ পাঠকারীর উপর বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারীর উপর সালাত-সালাম পাঠ করেন। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নি’মাতুল কুবরা)১১.ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন -“যখন কোন মুসলমান নিজ বাড়ীতে মীলাদ শরীফ পাঠ করে তখন সেই বাড়ীর অধিবাসীগণের উপর থেকে আল্লাহ্ পাক অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারী, অগ্নিকাণ্ড, ডুবে মরা, বালা মুসিবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কু-দৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন আল্লাহ পাক তাঁর জন্য মুনকীর-নকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর তাঁর অবস্থান হয় আল্লাহ্ পাক-এর সন্নিধানে সিদ্দিকের মাকামে। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা) যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর তাযীম করতে চাইবে তার জন্য উপরোক্ত বর্ণনা যথেষ্ট।প্রশ্নঃ-১০ ঈদে মিলাদুন্নবী র দিন কি কি কাজ করা শ রীয়ত স ন্মত ?উত্তরঃ ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন যা যা করণীয়ঃ১.হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের ফযীলত ব ণ র্না করা ।২.হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম কালের ঘটনা স মূহ বণ র্না করা ।৩.জুলুস ,কোরান খানি,রোযা ,ইসালে সাওয়াব প্রভৃতি ক রা ।৪.পবিত্র নাত শরীফ ,দরুদ শরীফ ও মিলাদ শরীফের মহফিল উদযাপন করা ।প্রশ্নঃ-১১ মিলাদ শ রীফের সাওয়াব কি হুযুরের নিকট পৌঁছায় ? এবং এ সম্পর্কে দলীল কি আছে?উত্তরঃ- হ্যাঁ, পৌঁছায় ।যেরূপ ভাবে কোরান শরীফে সুরা হজের মধ্যে কুরবানীর গোস্ত প্রসঙ্গে বণির্ত হয়েছে যে,আল্লার নিকট কখন ই গোস্ত ও রক্ত পৌঁছায় না, হ্যাঁ তোমাদের পরহেজগারি পৌঁছায়...। (সুরা হজ ৩৭ নং আয়াত) অনূরূপ মিলাদের সাওয়াব হযুরের পবিত্র দরবারে পৌঁছায় । হাদিস শ রীফের মধ্যে বণির্ত হয়েছে “আমার ওফাত শ রীফ (ইন্তেকাল) তোমাদের জন্য উত্তম কারন তোমাদের সকল প্রকার আমল আমার নিকট পেশ করা হয় যখন তোমরা কোন উত্তম কাজ কর তখন তার জন্য আমি আল্লার প্রশংসা করি....। (মাজমাউল যাওয়াযেদ ৯ম খন্ড ২৪ পৃঃ,আল মাতালেবুল আলিয়া –কেতাবুল মানাক্বেব হাদিস নং ৩৯২৫,মুস্নাদে বাযযার হাদিস নং ১৭০২,জামিউর সাগির ১ম খন্ড ৫৮২ পৃঃ) অতএব নিঃসন্দেহে মিলাদ শরীফ উদযাপন হল এমনই একটি উত্তম কাজ, যা হুযুরের নিকট পেশ করা হয় এ বং তার জন্য তিনি খুশিও হয়ে থাকেন ।প্রশ্নঃ-১২ -হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের শৈশব অবস্থার কিছু ঘটনাবলী বনর্না করুন যা মিলাদ শরীফে বলা প্রয়োজন এবং দলীল ভিক্তিক ?উত্তরঃ- হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের শৈশব অবস্থার কিছু গুরুত্ব পূর্ন ঘটনাবলী হ লঃ-১.হযরত আবু ওমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বণর্না করেন হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ঈরশাদ করেছেন “আমার মাতা এ রূপ বনর্ণা করেছেন যে ; আমার হতে একটি মহৎ নুর নিগর্ত হয়,এবং যার ছটায় শাম দেশের প্রাসাদ গুলিও রৌশন হয়ে যায় । (আল ওফা)২. হুযুর পাক ঈরশাদ করেছেন “আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আমার এক টি বিশেষ মযার্দা এই যে,আমি খাতনা অবস্থায় ভূমিষ্ট হয়েছি এবং আমার লজ্জাস্থান কেঊই দেখেনি ।(আল ওফা,তাবরানী )৩. অপর এক স্থানে বণির্ত হয়েছে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম পাক পবিত্র,নাভি কতর্ন কৃত ,সুর্মা পরিহিত ,বেহেস্ত লেবাস পরিহিত অবস্থায় ভূমিষ্ট হয়েছিলেন ।(মাদারেজুন নবুওত)বিঃদ্রঃ-এই সব ঘটনা হতে এটা সাবস্ত্য হয় যে, মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানে হুযুরের জন্ম বৃত্তান্ত, যা বণর্না করা হয় তা প্রকৃত পক্ষে হুযুরের ই সুন্নাত ।****
বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২
ঈদ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
good pablist but Refarence retarnurner by Year
উত্তরমুছুনসুহান আল্লাহ
উত্তরমুছুন