শনিবার, ৩০ জুন, ২০১২

জাকির নায়েক অভিশপ্ত কেন?


অভিশপ্ত জাকির নায়েক তার  ঈমানধ্বংসী  বিভ্রান্তিকর মতবাদ

ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে অনেকের এই ভুল ধারণা যে, সে একজন অভিজ্ঞ ধমার্লোচক এবং ইসলাম সম্পর্কে তার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে,কিন্তু বাস্তবে তা নয়সে কোন অভিজ্ঞ ইসলামিক স্কলার বা আলেম-মুফতী ন সে ইউনিভার্সিটি অফ মুম্বাই থেকে ব্যাচেলর অফ মেডিসিন সার্জারি বা এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করে আর দ্বীনী বিষয়ে যা শিখেছে, তা ইংরেজী অনুবাদ পড়ে শিখেছে; মৌলিক কিতাব পড়ে ইসলামের জ্ঞান হাসিল করেনিতাই ইসলামী বিষয়ে তার গভীর জ্ঞান নেই পবিত্র কুরআন ও হাদীসের বিশদ ইল্ম তার নেইএমনকি সে যে আয়াত বা হাদীসের রেফারেন্স মুখস্ত শুনা, তার পূর্বের বা পরের আয়াতটি বা হাদীসটি সম্পর্কেও তিনি অবগত নএ কথা সে নিজেই স্বীকারোক্তি করেছেতা ছাড়া সে আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন বা চার ইমামের অনুসরণ শুধু পরিত্যাগই করে নি, বরং সে এ সকল ইমামগণের সমালোচনা করে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করেছেসুতরাং শরীয়তের ব্যাপারে ডাক্তার জাকির নায়েকের কথাবার্তা ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছেতার ভিন্নমত ও চিন্তাধারা গ্রহণযোগ্য নয়
ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহ ঈমানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণে ঈমান নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছেতাই এ ব্যাপারে মুসলমানদের খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক দ্বীনের এ স্পর্শকাতর বিষয়ে ভ্রান্তিকর মন্তব্য করে ঈমানবিধ্বংসী পথ রচনা করেছে নিম্নে সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় ল্লেখ করা হলঃ-
১। মহান আল্লাহকে ব্রাহ্ম, বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকা যাব বলে ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টি-তার ভাষায়-ব্রহ্মা দ্বারা সবর্শক্তিমান আল্লাহকে বোঝালে মুসলমানদের কোন আপত্তি নেই(Muslims can have no objection if Almighty God is brahma)…..CONCEPT OF GOD IN MAJOR RELIGIONS –PAGE 7
ইসলামের হুকুম হচ্ছে মহান আল্লাহকে তাঁর সত্তাগত নাম হিসেবে আল্লাহনামে ডাকতে হবে অথবা যদি তাঁকে গুণগত নামে ডাকা হয়, তাহলে তিনি নিজের জন্য যেসকল নাম নির্ধারণ করেছেন, তাঁকে যে নামেই ডাকতে হবে, যা মহান আল্লাহর ৯৯ নামরূপে হাদীস শরীফে বর্ণনা করা হয়েছেআর আল্লাহ তাআলার গুণ বর্ণনা করে অন্যকোন শব্দে আল্লাহ তাআলাকে ডাকার জন্য শর্ত হল, সেই শব্দটি যেন বির্ধমীদের পরিভাষা না হয়
(হাওয়ালা : আল-কুরআন, সূরাহ বনী ইসরাঈল, আয়াত : ১১০/ সূরাহ ত্বহা, আয়াত : ৮/ সূরাহ আরাফ, আয়াত : ১৮০/ সূরাহ হাশর, আয়াত : ২৪/ সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২৭৩৬)
এ ভিত্তিতে মহান আল্লাহকে ব্রাহ্ম, বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকা জায়িয হবে নাকেননা, এ নাম দুটি একেতো আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে নেই, অপরদিকে এ নামগুলো বহু ঈশ্বরবাদী হিন্দুধর্মমতের পরিভাষা যা তারা তাদের শিরকী দেবতাদেরকে বুঝাতে ব্যবহার করেসুতরাং মহান আল্লাহকে এ ধরনের নামে কিছুই ডাকা যাবে নাএসব নামে আল্লাহকে ডাকা নাজায়িয
(হাওয়ালা : আকায়িদুল ইসলাম, ১ম খ-, ৩৫৫ পৃষ্ঠা)
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক বলেআল্লাহ তাআলাকে ব্রাহ্ম, বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকতে আপত্তি নেই
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক রচনা সমগ্র, ভলিয়াম নং ১, পৃষ্ঠা নং ১৬)

.রাম ও কৃষ্ণের নবী হওয়ার ব্যাপারে ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টি
ইসলামের আক্বীদা হচ্ছে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে যে সকল নবী-রাসূলের কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তাদেরকেই নবী-রাসূল বিশ্বাস করতে হবেঅন্য কাউকে নির্দিষ্ট করে নবী-রাসূল বলে বিশ্বাস করা যাবে নাকোন অ-নবীকে নবী বলে বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য  ক্ষতিকর

অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক হিন্দুদের রাম ও কৃষ্ণ সম্পর্কে নবী হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করে বলে অনেক নবী ছিলেনরাম ও কৃষ্ণের নবী হওয়ার ব্যাপারে আমরা বলতে পারি হতে পারে (দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২   )
৩। হিন্দুদের বেদ আল্লাহর বাণী হতে পারে বলে ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টিঃ-
ইসলামের আকীদা হচ্ছে মহান আল্লাহ চারটি প্রধান আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন : পবিত্র কুরআন, তাওরাত, ইঞ্জীল ও যাবূরএ ছাড়াও বিভিন্ন নবীর প্রতি ১০০টি সহীফা অবতীর্ণ করেছেনকিন্তু হিন্দুদের বেদ আল্লাহর কিতাব হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদীসের কোথাও বলা হয়নিতাই যাকে আল্লাহর কিতাব বলা হয়নি, তাকে আল্লাহর কিতাব বলে বিশ্বাস করা যাবে না
(হাওয়ালা : মিরকাত, ১ম খন্ড, ২৩৪ পৃষ্ঠা)
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক বলে আমাদের এ ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই যে, বেদ হয়তো আল্লাহর বাণী হতে পারে
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২, পৃষ্ঠা নং ১৬২)
৪। সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম)-এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে উক্তি!
মুসলমানদের আক্বীদা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম)-এর মহান সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সাহাবীগণ সত্যের মাপকাঠিতাঁরা ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেনতাঁরা কখনো রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম) নামে মিথ্যা কথা বা মিথ্যা হাদীস প্রচার করেননি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় নয় এবং তাঁর ওফাতের পরও নয়
(সূরাহ বাক্বারা, আয়াত : ১৩৭/ সহীহ মুসলিম, সাহাবীগণের (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম) বদনাম করা হারাম অধ্যায়)
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম)-এর ইন্তিকালের পর তারা কেউ কেউ রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম) নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)দেখুন ডাক্তার জাকির নায়েকের ভাষায় পরবর্তীতে যখন তিনি (রাসূলুল্লাহ সা.) ইন্তিকাল করলেন আর লোকজন যখন তাঁর কথাগুলো উদ্ধৃতি দিতে শুরু করলো এবং কেউ কেউ এমন কথাও বলতে শুরু করলোÑযা নবীজী হয়তো বলেননি...
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ৭৬)

 ৫। পবিত্র কুরআনে ভুল আছে বলে স্বীকার!
পবিত্র কুরআন সম্পর্কে ইসলামের আকীদা হল পবিত্র কুরআন অকাট্যভাবে নির্ভুল ও চিরশাশ্বততাই কুরআনে কোনরূপ ভুল আছে বা ব্যাকরণগগত ত্রুটি আছে এটা বলা বা এরূপ বিশ্বাস করা কিংবা এ ধরনের কারো অভিযোগ কোনভাবে মনে নেয়ার দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে
(আল-কুরআন, সূরাহ বাক্বারা, আয়াত : ২)
অথচ পবিত্র কুরআন প্রসঙ্গে জনৈক খৃষ্টান পন্ডিত ডাঃ উইলিয়াম ক্যাম্পবেল-এর আরোপিত একটি অভিযোগের উদ্ধৃতি টেনে ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনে ভুল হয়েছে বলে এক প্রকার মেনে নিয়ে বলে ডাঃ উইলিয়াম ক্যাম্পবেল বলেছেন কুরআনে রয়েছে নূহ (আ.)-এর জাতি রাসূলদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিলোঅথচ আমরা ইতিহাস থেকে জানি যে, নূহ (আ.)-এর জাতির নিকট একজন মাত্র নবীকে প্রেরণ করা হয়েছিলসুতরাং এটি (পবিত্র কুরআনের) একটি ব্যাকরণগত ভুলকুরআনের বলা উচিত ছিলনূহ (আ.)-এর জাতির লোকেরা রাসূলকে প্রত্যাখ্যান করেছিলআমি আপনাদের সাথে একমত যে, এটা ভুল হতে পারে...
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ১, পৃষ্ঠা নং ৫১২)
৬।নামাযের নিয়মে ভিন্নমতের দ্বারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি
এ উপমহাদেশে সাধারণত মুসলমানগণ যেভাবে নামায পড়েন যে, পুরুষগণ নাভীর নীচে এবং মহিলাগণ বুকের উপর হাত বাঁধেন, আর রুকু, সিজদা, বৈঠক ইত্যাদিও পুরুষ ও মহিলাগণ যার জন্য প্রযোজ্য মাসআলা অনুযায়ী আলাদা নিয়মে আদায় করেন, আর সকলে শুধু নামাযের শুরুতে তাকবীরে তাহরীমার সময় রাফউল ইয়াদাঈন করেন, রুকূতে যেতে এবং রুকূ থেকে উঠে রাফউল ইয়াদাঈন করেন না, তেমনি জামাআতের নামাযে সূরাহ ফাতিহার পর সবাই আস্তে আমীন বলেন, আমীন জোরে বলেন নাএ মাসআলাগুলো নির্ভরযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং ইসলামী শরীয়তের পালনীয় আমল হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত
(হাওয়ালা : সূনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮০/ সুনানে আহমদ, ৫ম খ-, ২২৭ পৃষ্ঠা/ তাবরানী, ২২ খ-, ২৭২ পৃষ্ঠা/ বাইহাকী, ২য় খ-, ২২২ পৃষ্ঠা/ মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, ৩য় খ-, ১৩৮ পৃষ্ঠা/ মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ২য় খ-, ৩০৮ পৃষ্ঠা/ আল-মুআল্লা, ২য় খ-, ২৯৫ পৃষ্ঠা/ আছারুস সুনান, ১ম খ-, ৯৪ পৃষ্ঠা, তাহাবী, ১ম খ-, ১৬৪ পৃষ্ঠা)
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক এখানকার মুসলমানদের এ ঐক্যবদ্ধ আমলের মধ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিন্নমত প্রচার করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে চলেছেনতিনি পুরুষ ও মহিলাদেরকে একই নিয়মে নামায পড়তে বলেন, পুরুষদেরকে বুকের ওপরে হাত বাঁধতে বলেন এবং রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে উঠতে সবাইকে রাফউল ইয়াদাইন করতে বলেনএছাড়াও তিনি জামাআতে সূরাহ ফাতিহার পর ইমাম-মুক্তাদী সকলকে জোরে আমীন বলতে বলেনএভাবে তিনি আরো অনেক ব্যতিক্রম নিয়ম বর্ণনা করেন আর বলেনÑতার বর্ণনানুযায়ী নিয়মই নামাযের একমাত্র নিয়ম, নামাযের অন্যকোন নিয়ম নেই
(দ্রষ্টব্য : ডা, জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২, পৃষ্ঠা নং ৪৪Ñ৪৫ ও ৪৮/ ভলিয়াম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ৮৪Ñ৮৫)
নামাযের এ সকল ব্যাপারে ডাক্তার জাকির নায়েকের বক্তব্যের লাইভ স্ক্রীপ্ট ইন্টারনেটে  পাওয়া যায়

এ পর্যন্ত ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদ ও গোমরাহী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলএমনি করে তার লেকচারে আরো বহু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর মতধারা রয়েছে, যেগুলো উল্লেখ করলে, এর আরো কয়েকগুণ হবে মানুষকে তার গোমরাহী থেকে সতর্ক করার জন্য এ বিষয়গুলো ত্রিমাসিক সুন্নি জগতে সবিস্তারে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে
যেহেতু ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদগুলো মুসলমানদের মধ্যে গোমরাহীর সৃষ্টি করে চলেছে, এ জন্য তার লেকচার, সিডি ও বই থেকে মুসলমানদের দূরে থাকা কর্তব্যডাক্তার জাকির নায়েকের এ লেকচার পুস্তকগুলো কোন মুসলমানের ঘরে থাকা উচিত হবে নাঅন্যথায় তা পরিবার ও সমাজে বংশপরস্পরায় গোমরাহীর সৃষ্টি করে যাবেএ রেফারেন্সগুলো যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনে লাইব্রেরীতে গিয়ে দেখে আসতে পারেনকিন্তু এগুলো কিনে এনে ঘরে রাখা বা পড়া সাধারণ লোকদের জন্য বিধেয় হবে না
সেই সাথে উল্লেখ্য যে, ডাক্তার জাকির নায়েকের বক্তব্য বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যে লাইভ কপির রেফারেন্স দেয়া হয়েছে, সেগুলো শুধু শুনে যাচাই করার জন্য দেয়া হয়েছে, তার ভিডিও দেখার জন্য নয়কেননা, ভিডিও বা টিভি দেখা ইসলাসসম্মত নয়তাই ওয়েবসাইটের সেই স্ক্রিপ্টে গিয়ে স্কীন পর্দাবৃত করে শুধু অডিও শুনে তা যাচাই করার অনুরোধ রইল
বিশ্বের উলামা-মাশায়িখ ও দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে হুঁশিয়ারী -
ডাক্তার জাকির নায়েক ইসলাম প্রচারের নামে উল্লিখিত ঈমানধ্বংসী ও বিভ্রান্তিকর মতবাদ প্রচার করার কারণে মুসলমানদের দ্বীন ও ঈমান হুমকির সম্মূখীন হওয়ায় সহীহ দ্বীন ও ঈমান রক্ষার তাগিদে চতুর্দিক থেকে দ্বীনের ধারক-বাহক উলামা-মাশায়িখ ও ইসলামী স্কলারগণ তার সম্পর্কে প্রতিবাদ করেছেন এবং মুসলিম জনসাধারণকে তার ভ্রষ্টতা সম্পর্কে হুঁশিয়ার করেছেনতেমনিভাবে মুসলিম জনগণকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে সতর্ক করে ইল্মে দ্বীনের প্রাণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ফাতওয়া প্রকাশ করা হয়
দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসার ফাতওয়া বিভাগের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে নি¤œাক্ত ফাতওয়া প্রদান করা হয়েছেÑ
এই ব্যক্তি নিজে পথভ্রষ্ট এবং অপরকে পথভ্রষ্টকারীলেকচার পদ্ধতিতে আধুনিক প্রচার মাধ্যম গ্রহণ করে যে কাজ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন, তার সারাংশ হল(ক) গোটা উম্মতকে হযরত আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন ও ইসলামের প্রসিদ্ধ চার ইমাম (রহ.)-এর অনুসরণ থেকে বের করে লা-মাজহাবী বানানো। (খ) দ্বীনের বিজ্ঞ উলামায়ে কিরামের প্রতি সাধারণ মুসলমানদের যে আস্থা ও নির্ভরতা রয়েছে, তা উঠিয়ে দেয়া এবং এ আস্থা ও নির্ভরতাকে কলঙ্কিত করতে যত রকমের কলাকৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করা যায়, তা ব্যবহার করা। (গ) ফাসিক বেদ্বীনদের চাল-চলন ও বেশ-ভূষার প্রতি সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে যে ঘৃণা রয়েছে, তা উপড়ে ফেলা (ঘ) ইসলামী শরীয়তের আহকাম ও আকায়িদ-ইবাদতের তাহকীক-বিশ্লেষণ এবং আমল করার ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানগণ যে বিজ্ঞ আলেম-উলামাগণের সাথে জুড়ে আছেন, তাদের সেই সম্পর্ককে আলেমগণ থেকে ছিন্ন করে তার নিজের ও তার কম্পাউন্ডের স্কলারদের সাথে জুড়ে দেয়া ইত্যাদি।...তাই মুসলমানদের তার ফিতনা থেকে দূরে থাকা কর্তব্য
ফাতওয়া বিভাগ, দারুল উলুম দেওবন্দ, ফাতওয়া নং ৩১৩৯২, ফাতওয়া প্রদানের তারিখ : ১০ এপ্রিলÑ২০১১ ইং
উক্ত ফাতওয়া দারুল উলূম দেওবন্দ-এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে রয়েছেতার মূল ডকুমেন্ট দেখতে google সার্চ করু

উর্দূ ফাতওয়ার অপসনে জাকির নায়েক সম্পর্কে সতর্ক করে আরো দুটি ফাতওয়া রয়েছে (ফাতওয়া নং ২৯৪২ ও ৬৭৩৭)
এ ছাড়াও দারুল উলূম দেওবন্দের ইংরেজী ভার্সনের ফাতওয়ায়ও ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে সতর্ক করে কয়েকটি ফাতওয়া দেয়া হয়েছে (ফাতওয়া নং ১১০, ৯৪২১ )
বিশ্বের উলামা-মাশায়িখ ও দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে হুঁশিয়ারী
ডাক্তার জাকির নায়েক ইসলাম প্রচারের নামে উল্লিখিত ঈমানধ্বংসী ও বিভ্রান্তিকর মতবাদ প্রচার করার কারণে মুসলমানদের দ্বীন ও ঈমান হুমকির সম্মূখীন হওয়ায় সহীহ দ্বীন ও ঈমান রক্ষার তাগিদে চতুর্দিক থেকে দ্বীনের ধারক-বাহক উলামা-মাশায়িখ ও ইসলামী স্কলারগণ তার সম্পর্কে প্রতিবাদ করেছেন এবং মুসলিম জনসাধারণকে তার ভ্রষ্টতা সম্পর্কে হুঁশিয়ার করেছেনতেমনিভাবে মুসলিম জনগণকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে সতর্ক করে ইল্মে দ্বীনের প্রাণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ফাতওয়া প্রকাশ করা হয়
এখানে প্রথমে উক্ত দ্বীনী প্রতিষ্ঠানসমূহের সতর্কবাণী এবং পরে উলামা-মাশায়িখগণের হুঁশিয়ারী সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্ধৃতি পেশ করা হলোÑ
ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের ফাতওয়া
1.দারুল উলুম দেওবন্দের ফাতওয়া
দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসার ফাতওয়া বিভাগের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে ফাতওয়া প্রদান করে বলা হয়েছে যে,এই ব্যক্তি নিজে পথভ্রষ্ট এবং অপরকে পথভ্রষ্টকারীলেকচার পদ্ধতিতে আধুনিক প্রচার মাধ্যম গ্রহণ করে যে কাজ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন, তার সারাংশ হল(ক) গোটা উম্মতকে হযরত আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন ও ইসলামের প্রসিদ্ধ চার ইমাম (রহ.)-এর অনুসরণ থেকে বের করে লা-মাজহাবী বানানো। (খ) দ্বীনের বিজ্ঞ উলামায়ে কিরামের প্রতি সাধারণ মুসলমানদের যে আস্থা ও নির্ভরতা রয়েছে, তা উঠিয়ে দেয়া এবং এ আস্থা ও নির্ভরতাকে কলঙ্কিত করতে যত রকমের কলাকৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করা যায়, তা ব্যবহার করা। (গ) ফাসিক বেদ্বীনদের চাল-চলন ও বেশ-ভূষার প্রতি সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে যে ঘৃণা রয়েছে, তা উপড়ে ফেলা (ঘ) ইসলামী শরীয়তের আহকাম ও আকায়িদ-ইবাদতের তাহকীক-বিশ্লেষণ এবং আমল করার ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানগণ যে বিজ্ঞ আলেম-উলামাগণের সাথে জুড়ে আছেন, তাদের সেই সম্পর্ককে আলেমগণ থেকে ছিন্ন করে তার নিজের ও তার কম্পাউন্ডের স্কলারদের সাথে জুড়ে দেয়া ইত্যাদি।...তাই মুসলমানদের তার ফিতনা থেকে দূরে থাকা কর্তব্য
ফাতওয়া বিভাগ, দারুল উলুম দেওবন্দ, ফাতওয়া নং ৩১৩৯২, ফাতওয়া প্রদানের তারিখ : ১০ এপ্রিলÑ২০১১ ইং
উক্ত ফাতওয়া দারুল উলূম দেওবন্দ-এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে রয়েছেতার মূল ডকুমেন্ট দেখতে সার্চ করুন।উর্দূ ফাতওয়ার অপসনে জাকির নায়েক সম্পর্কে সতর্ক করে আরো দুটি ফাতওয়া রয়েছে (ফাতওয়া নং ২৯৪২ ও ৬৭৩৭)
এ ছাড়াও দারুল উলূম দেওবন্দের ইংরেজী ভার্সনের ফাতওয়ায়ও ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে সতর্ক করে কয়েকটি ফাতওয়া দেয়া হয়েছে (ফাতওয়া নং ১১০, ৯৪২১ ও ৭০৭৭)
2.দারুল উলূম করাচীর ফাতওয়া
শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী সাহেবের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম করাচীর পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে সতর্ক করে ফাতওয়া দেয়া হয়েছে এবং এটাই আল্লামা তাকী উসমানী সাহেবের অভিমত বলে ওয়েব সাইটে উল্লেখ করা হয়েছেউক্ত ফাতওয়া নিন্মরূপ;
মানুষ মনে করে, ডাক্তার জাকির নায়েক একজন অভিজ্ঞ ধর্মবেত্তা এবং ইসলাম সম্পর্কে তার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছেকিন্তু বাস্তবে তা নয়তিনি কোন অভিজ্ঞ ইসলামিক স্কলার বা আলেম-মুফতী ননতা ছাড়া তিনি আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন বা চার ইমামের অনুসরণ শুধু পরিত্যাগই করেন নি, বরং তিনি এ সকল ইমামগণের সমালোচনা করে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করেনসুতরাং শরীয়তের ব্যাপারে ডাক্তার জাকির নায়েকের কথাবার্তা ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছেতার ভিন্নমত ও চিন্তাধারা গ্রহণযোগ্য নয়
ফাতওয়া লিখেছেন মুফতী খালিদ জামিল, দারুল ইফতা, দারুল উলুম করাচী, পাকিস্তান
সত্যায়ন করেছেন মুফতী মাহমুদ আশরাফ, মুফতী আবদুর রউফ ও মুফতী আবদুল মান্নান

উক্ত ফাতওয়ার কপি ইন্টারনেটে রয়েছেকেউ উক্ত ফাতওয়া ইন্টারনেটে দেখতে চাইলে সার্চ করুন
.
3.জামেয়া বিন্নুরিয়া করাচীর ফাতওয়া
পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্র জামেয়া বিন্নুরিয়া করাচী থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে নিন্মলিখিত ফাতওয়া প্রদান করা হয়েছে;
ডাক্তার জাকির নায়েক কোন সনদপ্রাপ্ত আলেম ননঅপরদিকে সূরত-শেকেলের দিক দিয়েও তাকে দ্বীনদার বুঝা যায় নাএ জন্য যাচাই-বাছাই ছাড়া তার লেকচারের অনুসরণ দ্বীনী দিক দিয়ে ক্ষতির কারণ হবে...
ফাতওয়া লিখেছেনÑমুফতী সাইফুল্লাহ জামিল
দারুল ইফতা, জামেয়া বিন্নুরিয়া, করাচী
এ ফাতওয়ার কপিও ইন্টারনেটে পাওয়া যায়
4.শরীয়া ইনস্টিটিউট আমেরিকার ফাতওয়া
আমেরিকার প্রখ্যাত ইসলামী সেন্টার শরীয়া ইনস্টিটিউট আমেরিকার পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে নিন্মে বর্ণিত ফাতওয়া দেয়া হয়েছে;
ডাক্তার জাকির নায়েকের অনেক কথাবার্তাই ভুলতার অনেক চিন্তাধারা কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে সঠিক নয়তা ছাড়া তিনি ইসলামের অভিজ্ঞ স্কলার ননতাই তার অনেক রেফারেন্স যথার্থ হয় না
ফাতওয়া প্রদান করেছেনÑমুফতী শাহ মুহাম্মদ নাভালুর রহমান মিফতাহী, শরীয়া ইনষ্টিটিউট, আমেরিকা
উক্ত ফাতওয়াটি ইন্টারনেটে দেখতে সার্চ করুন
5.দারুল হাদীস দাম্মাজ ইয়েমেন-এর ফাতওয়া
ইয়েমেনের প্রসিদ্ধ ইসলামী মারকায দারুল হাদীস দাম্মাজ ইয়েমেন-এর পক্ষ থেকে উক্ত মারকাযের প্রধান মুফতী শাইখ ইয়াহ্ইয়া ইবনে আলী আবু আবদুর রহমান আল-হাজূরী (আল-জাওয়াবু আলা ছালাছীনা সুওয়ালান তুছবিতু আলা আন্না জাকিরান আল-হিনদিয়্যা ওয়া আসহাবা ফিকরিহী মুনহারিফূনা জ্বলালান) (অর্থ : ৩০টি প্রশ্নের জবাবÑযেগুলো প্রমাণ করে যে, হিন্দুস্থানী জাকির নায়েক ও তার চিন্তাধারার অনুসারীরা গোমরাহ)নামে দলীল-প্রমাণসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সুদীর্ঘ ফাতওয়া প্রকাশ করেছেনএতে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, ডাক্তার জাকির নায়েক ভুল পথে রয়েছেন এবং তিনি হক থেকে বিচ্যুত ও পথভ্রষ্ট

তেমনি আরো বহু মাদরাসা ও দ্বীনী প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদ সম্পর্কে সতর্ক করে ফাতওয়া দেয়া হয়েছে ইন্টারনেটে এর অসংখ্য তথ্য রয়েছে

ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে বিশ্বের বরেণ্য উলামা-মাশায়িখগণের ফাতওয়া
বিভিন্ন দেশের যে সকল বরেণ্য মুফতীয়ানে কিরাম ও উলামা-মাশায়িখ ডাক্তার জাকির নায়েকের ফিতনা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকজন হলেন  ভারতের জামেয়া আশরাফিয়ার প্রধাণ মুফতী নিজামুদ্দিন সাহেব,পাকিস্তানের বিশিষ্ট গবেষক-আলেম মাওলানা সাইয়্যিদ খালীক সাজিদ বুখারী, পাকিস্তানের মুহাক্কিক আলেম মুতাকাল্লিমে ইসলামউপাধিখ্যাত মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান, পাকিস্তানের প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার শাইখুল ইসলাম মাওলানা তাকী উসমানী, পাকিস্তানের বিশিষ্ট গবেষক মুফতী খালিদ জামিল, মুফতী মাহমুদ আশরাফ, মুফতী আবদুল মান্নান, মুফতী আবদুর রউফ, মুফতী নাওয়ালুর রহমান, ভারতের লখন শহরের কাজী মুফতী আবুল ইরফান, খন ঈদগাহর নায়েব ইমাম মাওলানা খালিদ রশীদ, ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আশরাফ আসিফ জালাল, ইয়ামেনের বরেণ্য আলেম মুফতী শাইখ হাফেজ ইয়াহ্ইয়া ইবনে আলী হাজুরী, আমেরিকার শরীয়া ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক মুফতী নাভালুর রহমান মিফতাহী, ইংল্যান্ডের মারকাযে আহলে সুন্নাতের প্রেসিডেন্ট আল্লামা আহমদ নাসির নিয়াজ, মাদরাসায়ে ইনআমিয়ার দারুল ইফতা পরিচালক মুফতী ইবরাহীম দেশাই, সৌদী আরবের বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামী স্কলার শাইখ সুলতান আল-উতাবী, শাইখ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদাসী, শাইখ সুলাইমান আল-আলওয়াব এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম শাইখুল হাদীস আল্লামা মাওলানা মাহমূদুল হাসান, বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী মনসূরুল হক, দেশবরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেকচারার শাইখুল হাদীস মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী প্রমুখ
পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাইয়্যিদ খালীক সাজিদ বুখারী (মুদ্দা জিল্লুহু) ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দলীল-প্রমাণসহ তুলে ধরে মুসলমানদেরকে সতর্ক করে (হাক্বীক্বাতে ডাক্তার জাকির নায়েক) নামে উর্দূ ভাষায় একটি ৪৯৬ পৃষ্ঠার বৃহদাকার পুস্তক প্রকাশ করেছেনবইটির প্রকাশকাল জানুয়ারী২০১০ ইংপ্রকাশ করা হয়েছে মানশূরাতে কলম, মুসলিম সেন্টার (২য় তলা), উর্দু বাজার, লাহোর থেকেপুস্তকটি পাকিস্তানের লাইব্রেরীগুলোতে পাওয়া যায়ইন্টারনেটে উক্ত পুস্তক দেখতে বা ডাউনলোড করতে পারেন
তেমনিভাবে লক্ষেèৗর কাজী মুফতী আবুল ইরফান কাদভী সর্বস্তরের উলামা কনফারেন্স-এ ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত বিষয়সমূহ উত্থাপনপূর্বক বিশেষ করে ডাক্তার জাকির নায়েক ইয়াযীদের প্রশংসা করে তার নামের সাথেরাদিয়াল্লাহু আনহুবলেছেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায় হে অ সাল্লাম)-এর শানে এ কথা বলেছেন যে, “আজ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায় হে অ সাল্লাম.)কেও চাওয়া আমাদের জন্য হারামপ্রভৃতি তার এসব কথার কারণে তার বিরুদ্ধে কুফরীর ফাতওয়া জারী করে ভারতের মুসলমানদেরকে সতর্ক করেন যার নিউজ ভারতের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে কভারেজ পায়আর সে সময় ডাক্তার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতের হাইকোর্টে মামলা হয় এবং তার সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়এতে তার নামে ওয়ারেন্টও জারী করা হয়তখন ডাক্তার জাকির নায়েক সেই মামলায় হাইকোর্টে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন
এ ব্যাপার নিয়ে তখন ডাক্তার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতে মুসলমানগণ বিক্ষোভ ও মিছিল করেনতখন বিভিন্ন স্থানে এ নিয়ে ডাক্তার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

অনুরূপ পাকিস্তানের করাচীর এক বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আবু উসামা জাফর বাগরভী (ডাক্তার জাকির নায়েক পার এক নাজ্র)নামে বই লিখে জনগণকে সতর্ক করেছেনযা প্রকাশ করেছে মাকতাবায়ে ফাইজানÑরাওয়ালপি- ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রষ্টতা সম্পর্কে উম্মতকে হুঁশিয়ার করে আহলে হাদীস সালাফী স্কলারগণের পক্ষ থেকে (আক্বল ও নক্বল ছে ফায়েক্ব ডাক্তার জাকির নায়েক)নামে ইন্টারনেটে অনলাইন পুস্তক প্রকাশ করা
এ ছাড়াও অপর আহলে হাদীস সালাফী স্কলারগণের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদের বিরুদ্ধে ফাতওয়া দেয়া হয়েছে
তেমনিভাবে আরব দেশের বিশিষ্ট উলামায়ে কিরামগণ ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রষ্টতার ব্যাপারে মুসলমানদেরকে সতর্ক করে ফাতওয়া দিয়েছেনতাদের ফাতওয়া ইন্টারনেটে দেখতে সার্চ করুন
অনুরূপভাবে পাকিস্তানের বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার মুতাকাল্লিমে ইসলাম মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে প্রামাণিক সেমিনার করে বলিষ্ঠ দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করতঃ ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদ খ-ন করেছেন এবং সে ব্যাপারে ইসলামের সহীহ মাসলাক বর্ণনা অনুরূপভাবে ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আশরাফ আসিফ জালাল ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্তি সম্পর্কে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছেনতার লাইফ বয়ান পাওয়া যাবে ইন্টারনেটে এ সাইটেÑ

পাকিস্তানের অপর বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর তাঁর দ্বীনী ইদারা দাওয়াতে কানযুল ঈমান”-এর পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে দলীল-প্রমাণ ভিত্তিক বিস্তারিত বর্ণনা করে (ডাক্তার জাকির নায়েক ছে জাওয়াব তালাবী) (অর্থ : ডাক্তার জাকির নায়েক থেকে উত্তর চাই)নামে এক ইশতিহার প্রকাশ করেছেন এবং এতে তিনি ডাক্তার জাকির নায়েকের প্রতি প্রকাশ্য বাহাছ-মুনাজারার চ্যালেঞ্জ করেছেনউক্ত ইশতিহারটি দেখতে ইন্টারনেটে ব্রাউজ করুন
তেমনিভাবে বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে ঢাকা-মোহাম্মদপুর-জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়ার শাইখুল হাদীস ও প্রধান মুফতী আল্লামা মুফতী মনসূরুল হক (দা. বা.) উক্ত জামিআর পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের দ্বীনী বক্তব্য কতটুকু গ্রহণযোগ্যপ্রতিথযশা মুহাক্কিক আলেম আল্লামা মাওলানা মাহমূদুল হাসান (দা. বা.) বিভিন্ন মজলিসে মুসলমানদেরকে ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছেনঅনুরূপভাবে বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রষ্টতা সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও দেশবরেণ্য ওয়ায়েজ মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরীডাক্তার জাকির নায়েকের আসল চেহারানামে এবং মুফতী মিজানুর রহমান কাসেমীজাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদনামে বই প্রকাশ করেছেন
এছাড়াও আরো বহু বিশিষ্ট আলেম ও দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে মুসলমানদেরকে সতর্ক করে সতর্কবাণী ও ইশতিহার প্রকাশ করা হয়েছেআমাদের কাছে এরূপ অনেক ফাতওয়ার কপি রয়েছে
এ পর্যন্ত ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণভিত্তিক আলোচনা করা হলএতে আশা করি, ডাক্তার জাকির নায়েকের স্বরূপ সকলের নিকট উন্মোচিত হয়েছেআল্লাহ তাআলা তার গোমরাহী থেকে সকল মুসলমানকে হিফাজত করুন। (আমীন)
                            ...........................।



সংকলনঃ- MUFTI NURUL AREFIN REZVI AZHARI
DATE-2 SHABAN 1433,
23-06-12

বুধবার, ২৭ জুন, ২০১২

অভিশপ্ত জাকির নায়েক ও তার ঈমানধ্বংসী মতবাদ

অভিশপ্ত জাকির নায়েক ও তার  ঈমানধ্বংসী  বিভ্রান্তিকর মতবাদ

ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে অনেকের এই ভুল ধারণা যে, সে একজন অভিজ্ঞ ধমার্লোচক এবং ইসলাম সম্পর্কে তার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে,কিন্তু বাস্তবে তা নয়সে কোন অভিজ্ঞ ইসলামিক স্কলার বা আলেম-মুফতী ন সে ইউনিভার্সিটি অফ মুম্বাই থেকে ব্যাচেলর অফ মেডিসিন সার্জারি বা এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করে আর দ্বীনী বিষয়ে যা শিখেছে, তা ইংরেজী অনুবাদ পড়ে শিখেছে; মৌলিক কিতাব পড়ে ইসলামের জ্ঞান হাসিল করেনিতাই ইসলামী বিষয়ে তার গভীর জ্ঞান নেই পবিত্র কুরআন ও হাদীসের বিশদ ইল্ম তার নেইএমনকি সে যে আয়াত বা হাদীসের রেফারেন্স মুখস্ত শুনায়, তার পূর্বের বা পরের আয়াতটি বা হাদীসটি সম্পর্কেও তিনি অবগত নএ কথা সে নিজেই স্বীকারোক্তি করেছেতা ছাড়া সে আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন বা চার ইমামের অনুসরণ শুধু পরিত্যাগই করে নি, বরং সে এ সকল ইমামগণের সমালোচনা করে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করেছেসুতরাং শরীয়তের ব্যাপারে ডাক্তার জাকির নায়েকের কথাবার্তা ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছেতার ভিন্নমত ও চিন্তাধারা গ্রহণযোগ্য নয়
ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহ ঈমানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণে ঈমান নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছেতাই এ ব্যাপারে মুসলমানদের খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক দ্বীনের এ স্পর্শকাতর বিষয়ে ভ্রান্তিকর মন্তব্য করে ঈমানবিধ্বংসী পথ রচনা করেছে নিম্নে সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় ল্লেখ করা হলঃ-
১।
মহান আল্লাহকে ব্রাহ্ম, বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকা যাব বলে ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টি-তার ভাষায়-“ব্রহ্মা দ্বারা সবর্শক্তিমান আল্লাহকে বোঝালে মুসলমানদের কোন আপত্তি নেই”(Muslims can have no objection if Almighty God is brahma)…..CONCEPT OF GOD IN MAJOR RELIGIONS –PAGE 7
ইসলামের হুকুম হচ্ছে মহান আল্লাহকে তাঁর সত্তাগত নাম হিসেবে আল্লাহনামে ডাকতে হবে অথবা যদি তাঁকে গুণগত নামে ডাকা হয়, তাহলে তিনি নিজের জন্য যেসকল নাম নির্ধারণ করেছেন, তাঁকে যে নামেই ডাকতে হবে, যা মহান আল্লাহর ৯৯ নামরূপে হাদীস শরীফে বর্ণনা করা হয়েছেআর আল্লাহ তাআলার গুণ বর্ণনা করে অন্যকোন শব্দে আল্লাহ তাআলাকে ডাকার জন্য শর্ত হল, সেই শব্দটি যেন বির্ধমীদের পরিভাষা না হয়
(
হাওয়ালা : আল-কুরআন, সূরাহ বনী ইসরাঈল, আয়াত : ১১০/ সূরাহ ত্বহা, আয়াত : ৮/ সূরাহ আরাফ, আয়াত : ১৮০/ সূরাহ হাশর, আয়াত : ২৪/ সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২৭৩৬)
এ ভিত্তিতে মহান আল্লাহকে ব্রাহ্ম, বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকা জায়িয হবে নাকেননা, এ নাম দুটি একেতো আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে নেই, অপরদিকে এ নামগুলো বহু ঈশ্বরবাদী হিন্দুধর্মমতের পরিভাষা যা তারা তাদের শিরকী দেবতাদেরকে বুঝাতে ব্যবহার করেসুতরাং মহান আল্লাহকে এ ধরনের নামে কিছুই ডাকা যাবে নাএসব নামে আল্লাহকে ডাকা নাজায়িয
(
হাওয়ালা : আকায়িদুল ইসলাম, ১ম খ-, ৩৫৫ পৃষ্ঠা)
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক বলেআল্লাহ তাআলাকে ব্রাহ্ম, বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকতে আপত্তি নেই
(
দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক রচনা সমগ্র, ভলিয়াম নং ১, পৃষ্ঠা নং ১৬)

২.রাম ও কৃষ্ণের নবী হওয়ার ব্যাপারে ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টি
ইসলামের আক্বীদা হচ্ছে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে যে সকল নবী-রাসূলের কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তাদেরকেই নবী-রাসূল বিশ্বাস করতে হবেঅন্য কাউকে নির্দিষ্ট করে নবী-রাসূল বলে বিশ্বাস করা যাবে নাকোন অ-নবীকে নবী বলে বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য  ক্ষতিকর ।

অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক হিন্দুদের রাম ও কৃষ্ণ সম্পর্কে নবী হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করে বলে অনেক নবী ছিলেনরাম ও কৃষ্ণের নবী হওয়ার ব্যাপারে আমরা বলতে পারি হতে পারে (দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২   )
৩। হিন্দুদের বেদ আল্লাহর বাণী হতে পারে বলে ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টিঃ-
ইসলামের আকীদা হচ্ছে মহান আল্লাহ চারটি প্রধান আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন : পবিত্র কুরআন, তাওরাত, ইঞ্জীল ও যাবূরএ ছাড়াও বিভিন্ন নবীর প্রতি ১০০টি সহীফা অবতীর্ণ করেছেনকিন্তু হিন্দুদের বেদ আল্লাহর কিতাব হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদীসের কোথাও বলা হয়নিতাই যাকে আল্লাহর কিতাব বলা হয়নি, তাকে আল্লাহর কিতাব বলে বিশ্বাস করা যাবে না
(
হাওয়ালা : মিরকাত, ১ম খন্ড, ২৩৪ পৃষ্ঠা)
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক বলে আমাদের এ ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই যে, বেদ হয়তো আল্লাহর বাণী হতে পারে
(
দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২, পৃষ্ঠা নং ১৬২)
৪। সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম)-এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে উক্তি!
মুসলমানদের আক্বীদা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম)-এর মহান সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সাহাবীগণ সত্যের মাপকাঠিতাঁরা ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেনতাঁরা কখনো রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম) নামে মিথ্যা কথা বা মিথ্যা হাদীস প্রচার করেননি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় নয় এবং তাঁর ওফাতের পরও নয়
(
সূরাহ বাক্বারা, আয়াত : ১৩৭/ সহীহ মুসলিম, সাহাবীগণের (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম) বদনাম করা হারাম অধ্যায়)
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম)-এর ইন্তিকালের পর তারা কেউ কেউ রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলায়হে অ সাল্লাম) নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)দেখুন ডাক্তার জাকির নায়েকের ভাষায় “পরবর্তীতে যখন তিনি (রাসূলুল্লাহ সা.) ইন্তিকাল করলেন আর লোকজন যখন তাঁর কথাগুলো উদ্ধৃতি দিতে শুরু করলো এবং কেউ কেউ এমন কথাও বলতে শুরু করলোÑযা নবীজী হয়তো বলেননি...
(
দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ৭৬)

 ৫। পবিত্র কুরআনে ভুল আছে বলে স্বীকার!
পবিত্র কুরআন সম্পর্কে ইসলামের আকীদা হল পবিত্র কুরআন অকাট্যভাবে নির্ভুল ও চিরশাশ্বততাই কুরআনে কোনরূপ ভুল আছে বা ব্যাকরণগগত ত্রুটি আছে এটা বলা বা এরূপ বিশ্বাস করা কিংবা এ ধরনের কারো অভিযোগ কোনভাবে মনে নেয়ার দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে
(
আল-কুরআন, সূরাহ বাক্বারা, আয়াত : ২)
অথচ পবিত্র কুরআন প্রসঙ্গে জনৈক খৃষ্টান পন্ডিত ডাঃ উইলিয়াম ক্যাম্পবেল-এর আরোপিত একটি অভিযোগের উদ্ধৃতি টেনে ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনে ভুল হয়েছে বলে এক প্রকার মেনে নিয়ে বলে ডাঃ উইলিয়াম ক্যাম্পবেল বলেছেন কুরআনে রয়েছে নূহ (আ.)-এর জাতি রাসূলদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিলোঅথচ আমরা ইতিহাস থেকে জানি যে, নূহ (আ.)-এর জাতির নিকট একজন মাত্র নবীকে প্রেরণ করা হয়েছিলসুতরাং এটি (পবিত্র কুরআনের) একটি ব্যাকরণগত ভুলকুরআনের বলা উচিত ছিলনূহ (আ.)-এর জাতির লোকেরা রাসূলকে প্রত্যাখ্যান করেছিলআমি আপনাদের সাথে একমত যে, এটা ভুল হতে পারে...
(
দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ১, পৃষ্ঠা নং ৫১২)
৬।নামাযের নিয়মে ভিন্নমতের দ্বারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি
এ উপমহাদেশে সাধারণত মুসলমানগণ যেভাবে নামায পড়েন যে, পুরুষগণ নাভীর নীচে এবং মহিলাগণ বুকের উপর হাত বাঁধেন, আর রুকু, সিজদা, বৈঠক ইত্যাদিও পুরুষ ও মহিলাগণ যার জন্য প্রযোজ্য মাসআলা অনুযায়ী আলাদা নিয়মে আদায় করেন, আর সকলে শুধু নামাযের শুরুতে তাকবীরে তাহরীমার সময় রাফউল ইয়াদাঈন করেন, রুকূতে যেতে এবং রুকূ থেকে উঠে রাফউল ইয়াদাঈন করেন না, তেমনি জামাআতের নামাযে সূরাহ ফাতিহার পর সবাই আস্তে আমীন বলেন, আমীন জোরে বলেন নাএ মাসআলাগুলো নির্ভরযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং ইসলামী শরীয়তের পালনীয় আমল হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত
(
হাওয়ালা : সূনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮০/ সুনানে আহমদ, ৫ম খ-, ২২৭ পৃষ্ঠা/ তাবরানী, ২২ খ-, ২৭২ পৃষ্ঠা/ বাইহাকী, ২য় খ-, ২২২ পৃষ্ঠা/ মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, ৩য় খ-, ১৩৮ পৃষ্ঠা/ মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ২য় খ-, ৩০৮ পৃষ্ঠা/ আল-মুআল্লা, ২য় খ-, ২৯৫ পৃষ্ঠা/ আছারুস সুনান, ১ম খ-, ৯৪ পৃষ্ঠা, তাহাবী, ১ম খ-, ১৬৪ পৃষ্ঠা)
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক এখানকার মুসলমানদের এ ঐক্যবদ্ধ আমলের মধ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিন্নমত প্রচার করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে চলেছেনতিনি পুরুষ ও মহিলাদেরকে একই নিয়মে নামায পড়তে বলেন, পুরুষদেরকে বুকের ওপরে হাত বাঁধতে বলেন এবং রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে উঠতে সবাইকে রাফউল ইয়াদাইন করতে বলেনএছাড়াও তিনি জামাআতে সূরাহ ফাতিহার পর ইমাম-মুক্তাদী সকলকে জোরে আমীন বলতে বলেনএভাবে তিনি আরো অনেক ব্যতিক্রম নিয়ম বর্ণনা করেন আর বলেনÑতার বর্ণনানুযায়ী নিয়মই নামাযের একমাত্র নিয়ম, নামাযের অন্যকোন নিয়ম নেই
(
দ্রষ্টব্য : ডা, জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২, পৃষ্ঠা নং ৪৪Ñ৪৫ ও ৪৮/ ভলিয়াম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ৮৪Ñ৮৫)
নামাযের এ সকল ব্যাপারে ডাক্তার জাকির নায়েকের বক্তব্যের লাইভ স্ক্রীপ্ট ইন্টারনেটে  পাওয়া যায়

এ পর্যন্ত ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদ ও গোমরাহী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলএমনি করে তার লেকচারে আরো বহু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর মতধারা রয়েছে, যেগুলো উল্লেখ করলে, এর আরো কয়েকগুণ হবে মানুষকে তার গোমরাহী থেকে সতর্ক করার জন্য এ বিষয়গুলো ত্রিমাসিক সুন্নি জগতে সবিস্তারে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে
যেহেতু ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদগুলো মুসলমানদের মধ্যে গোমরাহীর সৃষ্টি করে চলেছে, এ জন্য তার লেকচার, সিডি ও বই থেকে মুসলমানদের দূরে থাকা কর্তব্যডাক্তার জাকির নায়েকের এ লেকচার পুস্তকগুলো কোন মুসলমানের ঘরে থাকা উচিত হবে নাঅন্যথায় তা পরিবার ও সমাজে বংশপরস্পরায় গোমরাহীর সৃষ্টি করে যাবেএ রেফারেন্সগুলো যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনে লাইব্রেরীতে গিয়ে দেখে আসতে পারেনকিন্তু এগুলো কিনে এনে ঘরে রাখা বা পড়া সাধারণ লোকদের জন্য বিধেয় হবে না
সেই সাথে উল্লেখ্য যে, ডাক্তার জাকির নায়েকের বক্তব্য বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যে লাইভ কপির রেফারেন্স দেয়া হয়েছে, সেগুলো শুধু শুনে যাচাই করার জন্য দেয়া হয়েছে, তার ভিডিও দেখার জন্য নয়কেননা, ভিডিও বা টিভি দেখা ইসলাসসম্মত নয়তাই ওয়েবসাইটের সেই স্ক্রিপ্টে গিয়ে স্কীন পর্দাবৃত করে শুধু অডিও শুনে তা যাচাই করার অনুরোধ রইল
বিশ্বের উলামা-মাশায়িখ ও দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে হুঁশিয়ারী -
ডাক্তার জাকির নায়েক ইসলাম প্রচারের নামে উল্লিখিত ঈমানধ্বংসী ও বিভ্রান্তিকর মতবাদ প্রচার করার কারণে মুসলমানদের দ্বীন ও ঈমান হুমকির সম্মূখীন হওয়ায় সহীহ দ্বীন ও ঈমান রক্ষার তাগিদে চতুর্দিক থেকে দ্বীনের ধারক-বাহক উলামা-মাশায়িখ ও ইসলামী স্কলারগণ তার সম্পর্কে প্রতিবাদ করেছেন এবং মুসলিম জনসাধারণকে তার ভ্রষ্টতা সম্পর্কে হুঁশিয়ার করেছেনতেমনিভাবে মুসলিম জনগণকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে সতর্ক করে ইল্মে দ্বীনের প্রাণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ফাতওয়া প্রকাশ করা হয়
দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসার ফাতওয়া বিভাগের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে নি¤œাক্ত ফাতওয়া প্রদান করা হয়েছেÑ
এই ব্যক্তি নিজে পথভ্রষ্ট এবং অপরকে পথভ্রষ্টকারীলেকচার পদ্ধতিতে আধুনিক প্রচার মাধ্যম গ্রহণ করে যে কাজ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন, তার সারাংশ হল(ক) গোটা উম্মতকে হযরত আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন ও ইসলামের প্রসিদ্ধ চার ইমাম (রহ.)-এর অনুসরণ থেকে বের করে লা-মাজহাবী বানানো। (খ) দ্বীনের বিজ্ঞ উলামায়ে কিরামের প্রতি সাধারণ মুসলমানদের যে আস্থা ও নির্ভরতা রয়েছে, তা উঠিয়ে দেয়া এবং এ আস্থা ও নির্ভরতাকে কলঙ্কিত করতে যত রকমের কলাকৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করা যায়, তা ব্যবহার করা। (গ) ফাসিক বেদ্বীনদের চাল-চলন ও বেশ-ভূষার প্রতি সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে যে ঘৃণা রয়েছে, তা উপড়ে ফেলা (ঘ) ইসলামী শরীয়তের আহকাম ও আকায়িদ-ইবাদতের তাহকীক-বিশ্লেষণ এবং আমল করার ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানগণ যে বিজ্ঞ আলেম-উলামাগণের সাথে জুড়ে আছেন, তাদের সেই সম্পর্ককে আলেমগণ থেকে ছিন্ন করে তার নিজের ও তার কম্পাউন্ডের স্কলারদের সাথে জুড়ে দেয়া ইত্যাদি।...তাই মুসলমানদের তার ফিতনা থেকে দূরে থাকা কর্তব্য
ফাতওয়া বিভাগ, দারুল উলুম দেওবন্দ, ফাতওয়া নং ৩১৩৯২, ফাতওয়া প্রদানের তারিখ : ১০ এপ্রিলÑ২০১১ ইং
উক্ত ফাতওয়া দারুল উলূম দেওবন্দ-এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে রয়েছেতার মূল ডকুমেন্ট দেখতে google সার্চ করু

উর্দূ ফাতওয়ার অপসনে জাকির নায়েক সম্পর্কে সতর্ক করে আরো দুটি ফাতওয়া রয়েছে (ফাতওয়া নং ২৯৪২ ও ৬৭৩৭)
এ ছাড়াও দারুল উলূম দেওবন্দের ইংরেজী ভার্সনের ফাতওয়ায়ও ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে সতর্ক করে কয়েকটি ফাতওয়া দেয়া হয়েছে (ফাতওয়া নং ১১০, ৯৪২১ )
বিশ্বের উলামা-মাশায়িখ ও দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে হুঁশিয়ারী
ডাক্তার জাকির নায়েক ইসলাম প্রচারের নামে উল্লিখিত ঈমানধ্বংসী ও বিভ্রান্তিকর মতবাদ প্রচার করার কারণে মুসলমানদের দ্বীন ও ঈমান হুমকির সম্মূখীন হওয়ায় সহীহ দ্বীন ও ঈমান রক্ষার তাগিদে চতুর্দিক থেকে দ্বীনের ধারক-বাহক উলামা-মাশায়িখ ও ইসলামী স্কলারগণ তার সম্পর্কে প্রতিবাদ করেছেন এবং মুসলিম জনসাধারণকে তার ভ্রষ্টতা সম্পর্কে হুঁশিয়ার করেছেনতেমনিভাবে মুসলিম জনগণকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে সতর্ক করে ইল্মে দ্বীনের প্রাণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ফাতওয়া প্রকাশ করা হয়
এখানে প্রথমে উক্ত দ্বীনী প্রতিষ্ঠানসমূহের সতর্কবাণী এবং পরে উলামা-মাশায়িখগণের হুঁশিয়ারী সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্ধৃতি পেশ করা হলোÑ
ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের ফাতওয়া
1.
দারুল উলুম দেওবন্দের ফাতওয়া
দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসার ফাতওয়া বিভাগের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে ফাতওয়া প্রদান করে বলা হয়েছে যে,“এই ব্যক্তি নিজে পথভ্রষ্ট এবং অপরকে পথভ্রষ্টকারীলেকচার পদ্ধতিতে আধুনিক প্রচার মাধ্যম গ্রহণ করে যে কাজ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন, তার সারাংশ হল(ক) গোটা উম্মতকে হযরত আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন ও ইসলামের প্রসিদ্ধ চার ইমাম (রহ.)-এর অনুসরণ থেকে বের করে লা-মাজহাবী বানানো। (খ) দ্বীনের বিজ্ঞ উলামায়ে কিরামের প্রতি সাধারণ মুসলমানদের যে আস্থা ও নির্ভরতা রয়েছে, তা উঠিয়ে দেয়া এবং এ আস্থা ও নির্ভরতাকে কলঙ্কিত করতে যত রকমের কলাকৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করা যায়, তা ব্যবহার করা। (গ) ফাসিক বেদ্বীনদের চাল-চলন ও বেশ-ভূষার প্রতি সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে যে ঘৃণা রয়েছে, তা উপড়ে ফেলা (ঘ) ইসলামী শরীয়তের আহকাম ও আকায়িদ-ইবাদতের তাহকীক-বিশ্লেষণ এবং আমল করার ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানগণ যে বিজ্ঞ আলেম-উলামাগণের সাথে জুড়ে আছেন, তাদের সেই সম্পর্ককে আলেমগণ থেকে ছিন্ন করে তার নিজের ও তার কম্পাউন্ডের স্কলারদের সাথে জুড়ে দেয়া ইত্যাদি।...তাই মুসলমানদের তার ফিতনা থেকে দূরে থাকা কর্তব্য
ফাতওয়া বিভাগ, দারুল উলুম দেওবন্দ, ফাতওয়া নং ৩১৩৯২, ফাতওয়া প্রদানের তারিখ : ১০ এপ্রিলÑ২০১১ ইং
উক্ত ফাতওয়া দারুল উলূম দেওবন্দ-এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে রয়েছেতার মূল ডকুমেন্ট দেখতে সার্চ করুন।উর্দূ ফাতওয়ার অপসনে জাকির নায়েক সম্পর্কে সতর্ক করে আরো দুটি ফাতওয়া রয়েছে (ফাতওয়া নং ২৯৪২ ও ৬৭৩৭)
এ ছাড়াও দারুল উলূম দেওবন্দের ইংরেজী ভার্সনের ফাতওয়ায়ও ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে সতর্ক করে কয়েকটি ফাতওয়া দেয়া হয়েছে (ফাতওয়া নং ১১০, ৯৪২১ ও ৭০৭৭)
2.
দারুল উলূম করাচীর ফাতওয়া
শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী সাহেবের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম করাচীর পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে সতর্ক করে ফাতওয়া দেয়া হয়েছে এবং এটাই আল্লামা তাকী উসমানী সাহেবের অভিমত বলে ওয়েব সাইটে উল্লেখ করা হয়েছেউক্ত ফাতওয়া নিন্মরূপ;
মানুষ মনে করে, ডাক্তার জাকির নায়েক একজন অভিজ্ঞ ধর্মবেত্তা এবং ইসলাম সম্পর্কে তার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছেকিন্তু বাস্তবে তা নয়তিনি কোন অভিজ্ঞ ইসলামিক স্কলার বা আলেম-মুফতী ননতা ছাড়া তিনি আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন বা চার ইমামের অনুসরণ শুধু পরিত্যাগই করেন নি, বরং তিনি এ সকল ইমামগণের সমালোচনা করে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করেনসুতরাং শরীয়তের ব্যাপারে ডাক্তার জাকির নায়েকের কথাবার্তা ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছেতার ভিন্নমত ও চিন্তাধারা গ্রহণযোগ্য নয়
ফাতওয়া লিখেছেন মুফতী খালিদ জামিল, দারুল ইফতা, দারুল উলুম করাচী, পাকিস্তান
সত্যায়ন করেছেন মুফতী মাহমুদ আশরাফ, মুফতী আবদুর রউফ ও মুফতী আবদুল মান্নান

উক্ত ফাতওয়ার কপি ইন্টারনেটে রয়েছেকেউ উক্ত ফাতওয়া ইন্টারনেটে দেখতে চাইলে সার্চ করুন
.
3.
জামেয়া বিন্নুরিয়া করাচীর ফাতওয়া
পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্র জামেয়া বিন্নুরিয়া করাচী থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে নিন্মলিখিত ফাতওয়া প্রদান করা হয়েছে;
ডাক্তার জাকির নায়েক কোন সনদপ্রাপ্ত আলেম ননঅপরদিকে সূরত-শেকেলের দিক দিয়েও তাকে দ্বীনদার বুঝা যায় নাএ জন্য যাচাই-বাছাই ছাড়া তার লেকচারের অনুসরণ দ্বীনী দিক দিয়ে ক্ষতির কারণ হবে...
ফাতওয়া লিখেছেনÑমুফতী সাইফুল্লাহ জামিল
দারুল ইফতা, জামেয়া বিন্নুরিয়া, করাচী
এ ফাতওয়ার কপিও ইন্টারনেটে পাওয়া যায়
4.শরীয়া ইনস্টিটিউট আমেরিকার ফাতওয়া
আমেরিকার প্রখ্যাত ইসলামী সেন্টার শরীয়া ইনস্টিটিউট আমেরিকার পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে নিন্মে বর্ণিত ফাতওয়া দেয়া হয়েছে;
ডাক্তার জাকির নায়েকের অনেক কথাবার্তাই ভুলতার অনেক চিন্তাধারা কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে সঠিক নয়তা ছাড়া তিনি ইসলামের অভিজ্ঞ স্কলার ননতাই তার অনেক রেফারেন্স যথার্থ হয় না
ফাতওয়া প্রদান করেছেনÑমুফতী শাহ মুহাম্মদ নাভালুর রহমান মিফতাহী, শরীয়া ইনষ্টিটিউট, আমেরিকা
উক্ত ফাতওয়াটি ইন্টারনেটে দেখতে সার্চ করুন
5.
দারুল হাদীস দাম্মাজ ইয়েমেন-এর ফাতওয়া
ইয়েমেনের প্রসিদ্ধ ইসলামী মারকায দারুল হাদীস দাম্মাজ ইয়েমেন-এর পক্ষ থেকে উক্ত মারকাযের প্রধান মুফতী শাইখ ইয়াহ্ইয়া ইবনে আলী আবু আবদুর রহমান আল-হাজূরী (আল-জাওয়াবু আলা ছালাছীনা সুওয়ালান তুছবিতু আলা আন্না জাকিরান আল-হিনদিয়্যা ওয়া আসহাবা ফিকরিহী মুনহারিফূনা জ্বলালান) (অর্থ : ৩০টি প্রশ্নের জবাবÑযেগুলো প্রমাণ করে যে, হিন্দুস্থানী জাকির নায়েক ও তার চিন্তাধারার অনুসারীরা গোমরাহ)নামে দলীল-প্রমাণসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সুদীর্ঘ ফাতওয়া প্রকাশ করেছেনএতে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, ডাক্তার জাকির নায়েক ভুল পথে রয়েছেন এবং তিনি হক থেকে বিচ্যুত ও পথভ্রষ্ট

তেমনি আরো বহু মাদরাসা ও দ্বীনী প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদ সম্পর্কে সতর্ক করে ফাতওয়া দেয়া হয়েছে ইন্টারনেটে এর অসংখ্য তথ্য রয়েছে

ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে বিশ্বের বরেণ্য উলামা-মাশায়িখগণের ফাতওয়া
বিভিন্ন দেশের যে সকল বরেণ্য মুফতীয়ানে কিরাম ও উলামা-মাশায়িখ ডাক্তার জাকির নায়েকের ফিতনা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকজন হলেন  ভারতের জামেয়া আশরাফিয়ার প্রধাণ মুফতী নিজামুদ্দিন সাহেব,পাকিস্তানের বিশিষ্ট গবেষক-আলেম মাওলানা সাইয়্যিদ খালীক সাজিদ বুখারী, পাকিস্তানের মুহাক্কিক আলেম মুতাকাল্লিমে ইসলামউপাধিখ্যাত মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান, পাকিস্তানের প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার শাইখুল ইসলাম মাওলানা তাকী উসমানী, পাকিস্তানের বিশিষ্ট গবেষক মুফতী খালিদ জামিল, মুফতী মাহমুদ আশরাফ, মুফতী আবদুল মান্নান, মুফতী আবদুর রউফ, মুফতী নাওয়ালুর রহমান, ভারতের লখন শহরের কাজী মুফতী আবুল ইরফান, খন ঈদগাহর নায়েব ইমাম মাওলানা খালিদ রশীদ, ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আশরাফ আসিফ জালাল, ইয়ামেনের বরেণ্য আলেম মুফতী শাইখ হাফেজ ইয়াহ্ইয়া ইবনে আলী হাজুরী, আমেরিকার শরীয়া ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক মুফতী নাভালুর রহমান মিফতাহী, ইংল্যান্ডের মারকাযে আহলে সুন্নাতের প্রেসিডেন্ট আল্লামা আহমদ নাসির নিয়াজ, মাদরাসায়ে ইনআমিয়ার দারুল ইফতা পরিচালক মুফতী ইবরাহীম দেশাই, সৌদী আরবের বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামী স্কলার শাইখ সুলতান আল-উতাবী, শাইখ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদাসী, শাইখ সুলাইমান আল-আলওয়াব এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম শাইখুল হাদীস আল্লামা মাওলানা মাহমূদুল হাসান, বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী মনসূরুল হক, দেশবরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেকচারার শাইখুল হাদীস মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী প্রমুখ
পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাইয়্যিদ খালীক সাজিদ বুখারী (মুদ্দা জিল্লুহু) ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দলীল-প্রমাণসহ তুলে ধরে মুসলমানদেরকে সতর্ক করে (হাক্বীক্বাতে ডাক্তার জাকির নায়েক) নামে উর্দূ ভাষায় একটি ৪৯৬ পৃষ্ঠার বৃহদাকার পুস্তক প্রকাশ করেছেনবইটির প্রকাশকাল জানুয়ারী২০১০ ইংপ্রকাশ করা হয়েছে মানশূরাতে কলম, মুসলিম সেন্টার (২য় তলা), উর্দু বাজার, লাহোর থেকেপুস্তকটি পাকিস্তানের লাইব্রেরীগুলোতে পাওয়া যায়ইন্টারনেটে উক্ত পুস্তক দেখতে বা ডাউনলোড করতে পারেন
তেমনিভাবে লক্ষেèৗর কাজী মুফতী আবুল ইরফান কাদভী সর্বস্তরের উলামা কনফারেন্স-এ ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত বিষয়সমূহ উত্থাপনপূর্বক বিশেষ করে ডাক্তার জাকির নায়েক ইয়াযীদের প্রশংসা করে তার নামের সাথেরাদিয়াল্লাহু আনহুবলেছেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায় হে অ সাল্লাম)-এর শানে এ কথা বলেছেন যে, “আজ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায় হে অ সাল্লাম.)কেও চাওয়া আমাদের জন্য হারামপ্রভৃতি তার এসব কথার কারণে তার বিরুদ্ধে কুফরীর ফাতওয়া জারী করে ভারতের মুসলমানদেরকে সতর্ক করেন যার নিউজ ভারতের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে কভারেজ পায়আর সে সময় ডাক্তার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতের হাইকোর্টে মামলা হয় এবং তার সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়এতে তার নামে ওয়ারেন্টও জারী করা হয়তখন ডাক্তার জাকির নায়েক সেই মামলায় হাইকোর্টে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন
এ ব্যাপার নিয়ে তখন ডাক্তার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতে মুসলমানগণ বিক্ষোভ ও মিছিল করেনতখন বিভিন্ন স্থানে এ নিয়ে ডাক্তার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

অনুরূপ পাকিস্তানের করাচীর এক বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আবু উসামা জাফর বাগরভী (ডাক্তার জাকির নায়েক পার এক নাজ্র)নামে বই লিখে জনগণকে সতর্ক করেছেনযা প্রকাশ করেছে মাকতাবায়ে ফাইজানÑরাওয়ালপি- ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রষ্টতা সম্পর্কে উম্মতকে হুঁশিয়ার করে আহলে হাদীস সালাফী স্কলারগণের পক্ষ থেকে (আক্বল ও নক্বল ছে ফায়েক্ব ডাক্তার জাকির নায়েক)নামে ইন্টারনেটে অনলাইন পুস্তক প্রকাশ করা
এ ছাড়াও অপর আহলে হাদীস সালাফী স্কলারগণের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদের বিরুদ্ধে ফাতওয়া দেয়া হয়েছে
তেমনিভাবে আরব দেশের বিশিষ্ট উলামায়ে কিরামগণ ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রষ্টতার ব্যাপারে মুসলমানদেরকে সতর্ক করে ফাতওয়া দিয়েছেনতাদের ফাতওয়া ইন্টারনেটে দেখতে সার্চ করুন
অনুরূপভাবে পাকিস্তানের বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার মুতাকাল্লিমে ইসলাম মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে প্রামাণিক সেমিনার করে বলিষ্ঠ দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করতঃ ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদ খ-ন করেছেন এবং সে ব্যাপারে ইসলামের সহীহ মাসলাক বর্ণনা অনুরূপভাবে ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আশরাফ আসিফ জালাল ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্তি সম্পর্কে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছেনতার লাইফ বয়ান পাওয়া যাবে ইন্টারনেটে এ সাইটেÑ

পাকিস্তানের অপর বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর তাঁর দ্বীনী ইদারা দাওয়াতে কানযুল ঈমান”-এর পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে দলীল-প্রমাণ ভিত্তিক বিস্তারিত বর্ণনা করে (ডাক্তার জাকির নায়েক ছে জাওয়াব তালাবী) (অর্থ : ডাক্তার জাকির নায়েক থেকে উত্তর চাই)নামে এক ইশতিহার প্রকাশ করেছেন এবং এতে তিনি ডাক্তার জাকির নায়েকের প্রতি প্রকাশ্য বাহাছ-মুনাজারার চ্যালেঞ্জ করেছেনউক্ত ইশতিহারটি দেখতে ইন্টারনেটে ব্রাউজ করুন
তেমনিভাবে বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে ঢাকা-মোহাম্মদপুর-জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়ার শাইখুল হাদীস ও প্রধান মুফতী আল্লামা মুফতী মনসূরুল হক (দা. বা.) উক্ত জামিআর পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের দ্বীনী বক্তব্য কতটুকু গ্রহণযোগ্যপ্রতিথযশা মুহাক্কিক আলেম আল্লামা মাওলানা মাহমূদুল হাসান (দা. বা.) বিভিন্ন মজলিসে মুসলমানদেরকে ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছেনঅনুরূপভাবে বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রষ্টতা সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও দেশবরেণ্য ওয়ায়েজ মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরীডাক্তার জাকির নায়েকের আসল চেহারানামে এবং মুফতী মিজানুর রহমান কাসেমীজাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদনামে বই প্রকাশ করেছেন
এছাড়াও আরো বহু বিশিষ্ট আলেম ও দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে মুসলমানদেরকে সতর্ক করে সতর্কবাণী ও ইশতিহার প্রকাশ করা হয়েছেআমাদের কাছে এরূপ অনেক ফাতওয়ার কপি রয়েছে
এ পর্যন্ত ডাক্তার জাকির নায়েকের গোমরাহী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণভিত্তিক আলোচনা করা হলএতে আশা করি, ডাক্তার জাকির নায়েকের স্বরূপ সকলের নিকট উন্মোচিত হয়েছেআল্লাহ তাআলা তার গোমরাহী থেকে সকল মুসলমানকে হিফাজত করুন। (আমীন)
                            ...........................।



সংকলনঃ- MUFTI NURUL AREFIN REZVI AZHARI
DATE-2 SHABAN 1433,
23-06-12